সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্কাউটসে নিয়মিত কমিটি গঠনের তাগিদ এডহক কমিটি নিয়ে নতুন বিতর্ক। কালের খবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে গণ-সংযোগ এবং উঠান বৈঠক। কালের খবর চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক দলের নেতা মাকসুদুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর ফসলী জমি দখলের অভিযোগ। কালের খবর লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু। কালের খবর নাফ নদীতে বিজিবির রুদ্ধশ্বাস অভিযান বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার। কালের খবর দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় খাগড়াছড়িতে মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। কালের খবর যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম চতুর্মুখী সমস্যায় জর্জরিত। কালের খবর সেনাবাহিনীর উপর ইউপিডিএফ এর হামলার ঘটনায় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন। কালের খবর রায়পুরায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান। কালের খবর
ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড : অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের বৃদ্ধা মমেনার | কালের খবর

ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড : অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের বৃদ্ধা মমেনার | কালের খবর

 ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন বৃদ্ধা মমেনা (ছবি- দৈনিক কালের খবর )

শেষ সময়ে কেউ পাশে নেই, ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, কালের খবর :

 বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা মমেনা বেওয়া (৬৫)। তবু তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। ৩০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে কোলেপিঠে বড় করেছেন দুই সন্তানকে। অনেক কষ্টে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরে ছেলে মমিনুল বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে আলাদা সংসার গড়েছেন। জীবনের শেষ দিন গুলোতে এসে একাই রয়ে গেলেন তিনি। এখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নন্দিরকুটি গ্রামের প্রয়াত কপুর উদ্দিনের স্ত্রী মমেনার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছেলে মমিনুলের ঘরটি তালাবদ্ধ। পলিথিন দিয়ে ছোট একটি ঝুঁপড়ি বসতঘরে উদাস মনে চেয়ে আছেন ওই বৃদ্ধা। কাছে গেলে উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি। জানান নিজের কষ্টের কথা-, ‘মোর খোঁজখবর নিয়া কী হইবে বাবা। পায়ের রক্ত মুখোত (মুখে) তুলি কষ্ট করি বেটিক (মেয়ে) বিয়া দিছং। বেটা বউ নিয়া আলাদা খায়। বয়সকালে কাম কাজ করি ছওয়া (ছেলে) মানুষ করছং। নিজের প্যাটও চালাইছং। এ্যালা (এখন) মোর কাঁইয়ো (কেউ) খোঁজ-খবর নেয় না। মেম্বর চেয়ারম্যানরাও কিছু দেয় না।’

এদিকে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বয়সেও ভাতার আওতায় আসেননি তিনি। পাননি সরকারি কোনো সহায়তা। ঘর না থাকলেও পাননি সরকারি ঘরের বরাদ্দ।

প্রতিবেশী শহিদুল, নুরজাহান বেগম জানান, বৃষ্টির দিন খুব কষ্ট হয় তার (মমেনা)। মমেনা বেওয়া অতি দরিদ্র হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ভাতা ও সরকারি ঘর।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, নতুন ঘরের বরাদ্দ আসলে তাকে ঘর দেওয়া হবে। তিনি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com